ঈদ উপলক্ষ্যে নিয়মিত Brand FMD Media তে আপনাদের জন্য পশু এবং সব তথ্য পাবেন।
কোরবানির ঈদের জন্য যেসব গরু বাজারে আসে, সেগুলোর মধ্যে রোগাক্রান্ত অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ওষুধযুক্ত গরুর সংখ্যাও কম হয় না। প্রাণীবিজ্ঞানদের মতে, স্টেরয়েড/রাসায়নিক ও ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরু দেখতে আকর্ষণীয় দেখালেও সেগুলো মাংস খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকেই । তাই এই কোরবানির জন্য গরু চেনাটা খুব জরুরি।
গরু সুস্থ্য কিনা তা চেনার উপায় ঃ
## যে সকল গরুদের বিভিন্ন রাসায়নিক বা ওষুধ এবং স্টেরয়েড দেয়া হয় তাদের মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অনান্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে থাকে। গরুর শরীরে পানি জমে থাকায় বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে থাক অনেক সময় এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কিছু সময় নেবে।
## এই সব গরুর অতিরিক্ত হওয়ায় গরু স্বাভাবিক নাড়াচাড়া কম করে। শরীরের গঠন অনুযায়ী যেমন চনচল হওয়ার কথা তার মাঝে সেই স্বভাব দেখা যায় না।
## রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ অলস প্রকৃতির হবে এবং ঝিমাবে। সুস্থ গরুর সামনে গেলেই মাথা নাড়াচাড়া করতে থাকবে। । কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়াতে থাকবে ঘনঘন।
## এই সব গরুদের দীর্ঘ দিন ঔষুধ খাওয়ানোর কারনে অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করলে নিশ্বাস দ্রুত নিবে মনে হবে হাঁপাচ্ছে ।
## যে সব গরুকে স্টেরয়েড দেয়া তাদের মুখ থেকে সব সময় লালা ঝরবে । সুস্থ গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে সে খাওয়ার চেষ্টা করবে এবং টেনে খাবে। নিয়মিত জাবর কাটবে। কিন্তু অসুস্থ্য গরু খাবার সামনে নিলেও মুখ সরিয়ে নিবে
## গরু অসুস্থ থাকলে নাক শুকনা শুকনা ভাব থাকবে। সুস্থ্য গরুর মুখ সব সময় জবর কাটায় নাক ভেজা ভেজা ভাব থাকবে।
## যে সব গরু সুস্থ তাদের শরীরের রঙ উজ্জ্বল, পিঠের কুজ মোটা, টানটান ও দাগমুক্ত এবং নাড়াচাড়া বেশি করবে।
## শরীরের হাত দিয়ে চাপ দিলে মাংস শক্ত লাগবে । রাসায়নিক/স্টেরয়েড দেয়া গরুর শরীরের মাংস থলথলে হবে।
## গরুর কানের কাছে হাত দিয়ে তাপমাত্রা দেখবেন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ।
## সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরেরহাড় বোঝা যাবে।
## অসুস্থ গরু কখন শরীরে ক্ষমতা দেখাতে চাইবেনা বা করবেও না।
আর ভাল ভাবে বুঝতে হলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল-https://www.youtube.com/channel/UCPI6JOYdK9Ry9OOqiWCvKGw/featured?view_as=subscriber
এবং ফেইচ বুক পেইজ-https://www.facebook.com/Brandmidea
0 মন্তব্যসমূহ