ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ থেকে বাচাঁর উপায় গুলো কি কি ?
ব্রণ
কাকে বলে
প্রাপ্ত বয়সের নারী পুরুষের সকলের ব্রণ হয়ে থাকে। ব্রণ আসলে কি সেটা কেউ জানিনা। ব্রণ হল ত্বকের সেবাসিয়াস নাম যে গ্রন্থি থাকে সেখান থেকে সেবাম নামের এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ যদি বন্ধ হয়ে যায় সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তখন তা জমে ফুলে ওঠে ত্বকের উপরে গুটি আকারে দেখা দেয়, যা আমাদের কাছে ব্রণ নামে পরিচিত। ব্রণের চারপাশে ব্যাথা হয় এবং লাল বর্ণে হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে ব্রণে পুঁজ হয়। ব্রুণের সংক্রমণ ভাল হয়ে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে।
https://go.fiverr.com/visit/?bta=305787&brand=fiverrlearn
ব্রণ
হওয়ার কারণ
ব্রণ
হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ
নিশ্চিত না হলেও হজমের
সমস্যা, বয়ঃসন্ধিকালে, অ্যালকোহল, হরমোনের প্রভাবের কারনে ব্রণ হয়। বংশগত
কারন কেউ অন্যতম কারন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে
থাকে। জীবাণু প্রোপাইনি
ব্যাকটেরিয়াম একনিস এর জন্য দায়ী হতে পারে।
প্রাপ্ত বয়সের নারী পুরুষের সকলের ব্রণ হয়ে থাকে। সে সকল ব্রণ আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এখন আমরা ব্রণের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করাব।
- ১. ট্রপিক্যাল একনি এ ধরাণের ব্রণ অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতায় আপনার পিঠে অথবা ঊরুতে বেশি হয়ে থাকে।
- ২. প্রিমেন্সট্রুয়াল একনি এই ব্রণটি মহিলাদের মাসিকের সপ্তাহখানেক আগে হয় বেশি।
- ৩. একনি কসমেটিকার এই রুণটি বিশেষ বিছু প্রসাধনী আছে যা নিযমিত লাগাতার ব্যবহারের ফলে হতে পারে।
- ৪. একনি ডিটারজিনেকস এই ব্রণ মুখ সাবান/ফেশ ওয়াশ দিয়ে বারবার ধুলে ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবণা বেড়ে যায়।
- ৫. স্টেরয়েড একনি স্টেরয়েড এ ধরাণের ব্রণ ওষুধ সেবন
করলে বা ব্যবহারে হয়।
ব্রণ
হলে করণিয়
- তেলযুক্ত খাবার ফাসফোড এবং কোমল পানিয় থোকে নিজে দূরে রাখতে পারলে ভাল।
- ব্রণ হলে আপনার ব্যবহৃত মেকাব/ক্রিম/ফাউন্ডেশন যে গুলো তৈলাকত্বক সে গুলো ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
- বাহিরে গেলে নিজেকে
পারলে হিজাব করে নিবেন যাতে মূখে রৌদ না
লাগে।
- চুলে তেল ব্যবহারের সময় লক্ষ্য রাখবেন যাতে মুখ তৈলাকত্বক না হয়।
- ব্রণে হলে কখন তা হাত দিয়ে ধরবেন না বা খুঁটবেন না এতে ইনফেকশন হয়ে মারাকত্বক আকার ধারন করতে পারে।
ব্রণ
থেকে রক্ষার উপায়
- · প্রচুর পরিমাণে পাণি পান করুন, বিভিন্ন প্রকারের ফল, সবজি খান খান।
- • তৈলাকত্বক মেকাব বর্জন করে ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করেন।
- • রাতে সময় মত ঘুমিয়ে পরোন এবং পর্যাপ্ত ঘুম পরিমাণ ঘুমান। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেস্টা করুন।
- • প্রতিদিন অত্যন্ত 2/3 বার হালকা করে সাবান/ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুওয়ার অভ্যাস করুণ। বাহিরের কোথাও গেলে এসেই মুখ ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলুন।
- • প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার চেস্টা করুন।
- • নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন ও পারলে আলাদা তোয়ালে বা রোমাল ব্যবহার করুন।
- • কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে।
1 মন্তব্যসমূহ
Vlo laglo
উত্তরমুছুন